গেল ১৪ই সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা মেডিক্যালে নেয়া হয় পিসিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি। দুই মাস পরও ল্যাবের কার্যক্রমের অগ্রগতি নেই। শীতে করোনার প্রকোপের আশঙ্কা করা হলেও, ল্যাব স্থাপনে চরম ধীরগতিতে স্থানীয়দের হতাশা।
মেডিক্যালে সাড়ে পাঁচশ জনবলের বিপরীতে আছে মাত্র ৮৯ জন। আর করোনা পরীক্ষার জন্য মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে ২৬ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র পাঁচজন। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কাজী হাবিবুর রহমান বলেন,’বর্তমানে আমাদের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক ও তিনজন লেকচারার আছেন। কোন ট্যেকনিশিয়ান নেই।’
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ল্যাবের কাজ শুরু করা হবে। খুলনা এইচইডি ইলেকট্রিক্যাল সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুল্যাহ জানান,’আমরা এস্টিমেট করে ফেলেছি। সেটা ইতিমধ্যে ডিভিশনে চলে গেছে। মন্ত্রণালয় থেকে টেন্ডার হওয়া মাত্রই আমরা টেন্ডারে চলে যাবো।’
পিসিআর ল্যাব স্থাপনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ চলছে বলে জানান সিভিল সার্জন। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হোসাইন সাফায়েত বলেন,’সংসদ সদস্য বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন। যদি কাজ হয়েও থাকে তারপরও এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।’
সাতক্ষীরা মেডিক্যালে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১২শ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে করোনা শনাক্ত ১৬ জন ও করোনা সন্দেহে শতাধিক মারা গেছেন।